নঈম নিজাম : কাজ করি তখন এটিএন বাংলায়। বার্তা সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। সময়টা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। দুজন রিপোর্টারকে পাঠিয়েছিলাম আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহে। একজন সৈয়দ রিয়াজ আরেকজন শেখ নাজমুল হক সৈকত। রিয়াজ ছিলেন আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে। আর নাজমুল হক সৈকত মুক্তাঙ্গন ও জিপিওর সামনে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সভাস্থলে পৌঁছার পর রিয়াজ জানালেন সভা শুরু হয়েছে। তখন এত টিভি ছিল না। এত সংবাদকর্মীও না। রিয়াজ জানালেন, সভামঞ্চ তৈরি করতে দেয়নি পুলিশ। আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি ছিল মুক্তাঙ্গনে। সরকার অনুমতি দেয়নি। তাই দলীয় অফিসের সামনে সব আয়োজন। অস্থায়ী মঞ্চ করা হয়েছে একটি ট্রাক এনে। সভার তদারকি করছেন নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি, ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ আর সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। নেত্রীকে রক্ষা করতে তাঁরাই পরে তৈরি করেছিলেন মানববর্ম। সমাবেশের কাজ ভালোভাবেই শুরু হলো। নেতারা নিয়ম অনুযায়ী বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তুলে ধরছিলেন আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি। অফিসের কাজের চাপ তেমন ছিল না। রিয়াজ আবার ফোন করলেন। বললেন, সভাস্থলে বোমার বিস্ফোরণ হয়েছে। ক্যামেরাম্যান জাকির আহত। তাঁর শরীরেও আঘাত লেগেছে। সৈকত, নাজির কোথায় জানি না। জাকিরের অবস্থা ভালো নয়। হাসপাতালে নিতে হবে।
প্রথমে ভেবেছিলাম সাধারণ ককটেল বিস্ফোরণ। এত ভয়াবহতার কথা ভাবনায় আসেনি। কল্পনাও করতে পারিনি। আমি ফোনে তাঁদের বললাম, যেভাবে হোক ঢাকা মেডিকেলে যাও। অফিসে অবস্থানরত অন্য রিপোর্টার, ক্যামেরামানদের কাজ ভাগ করে দিলাম। কাউকে পাঠালাম ২৩ বঙ্গবন্ধু, কেউ ঢাকা মেডিকেল। সবাই বেরিয়ে গেলেন ক্যামেরা নিয়ে। জানাতে থাকলেন ভয়াবহ বীভৎসতার খবর। মানবসভ্যতার ইতিহাসে নজিরবিহীন যে ঘটনা। আমাদের অন্য সব সহকর্মী অফিসে ছুটে এলেন। সবাই ব্যস্ত থাকলেন খবরগুলো প্রকাশ করতে। সারা রাত অফিসেই ছিলাম। ভোরে বাড়ি এসে ঘুমাতে গেলাম। কিন্তু ঘুমাতে পারলাম না। একটু পরই জরুরি ফোন এলো অফিস থেকে। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০টা। ফোন করলেন সরকার ফিরোজ ভাই। তিনি তখন এটিএন বাংলার প্রশাসন বিভাগের প্রধান। বললেন, দ্রুত একটু অফিসে আসো। গেলাম। তাঁর রুমে বসে আছেন মেজর লিয়াকত। তিনি নিজের পরিচয় দিলেন এনএসআইর কর্মকর্তা হিসেবে। এই লিয়াকত এখন কারাগারে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র খালাস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সম্পৃক্ত থাকার। তিনি বললেন, আগের দিন ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ধারণকৃত সব ভিডিও ফুটেজের মূল কপি দিতে হবে তাঁকে। কোনো কিছুই আমাদের কাছে রাখা যাবে না। টিভিতেও দেখানো যাবে না আর। সবকিছু শেষ করে দিতে হবে। বিস্মিত হলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম তদন্তের স্বার্থে তিনি আসামি শনাক্তে আমাদের সহায়তা চান। একটু পর বুঝলাম তাঁর মিশন ভিন্ন। তিনি ভিডিও ডকুমেন্ট ধ্বংস করে দিতে চান। আমাদের অফিসে কোনো কিছু রাখতে চান না। তাঁকে বললাম, অবশ্যই দেব। আমাকে লিখিত দিতে হবে আপনারা কী চান। তা ছাড়া অন্য দুটি টিভি ‘চ্যানেল আই’ ও ‘এনটিভি’ও ছিল গতকাল। তাদের সঙ্গে কি আপনার কথা হয়েছে? তারা কী বলেছেন? লিয়াকত তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করলেন। হুমকি দিলেন দেখে নেওয়ার। তারপর বললেন, আপনি রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দিচ্ছেন। অন্য দুটি টিভির সঙ্গে আলাপ করে এখানে এসেছি। তাঁকে বললাম, রাষ্ট্রের তদন্ত কাজে অবশ্যই সহায়তা করতে চাই। কিন্তু আমাদের ভিডিও ফুটেজ আপনি এভাবে নিতে পারেন না। আর আমিও দিতে পারি না। আপনি লিখিত চিঠি দিন। বেরিয়ে গেলেন মেজর লিয়াকত। বললেন, আমি লোক দিয়ে চিঠি এক ঘণ্টার মধ্যে পাঠাচ্ছি। আপনি ফুটেজ দিয়ে দেবেন। সরকার ফিরোজ আমার দিকে তাকালেন। বললেন, ঝামেলা হবে না তো?
এনএসআইর ঝামেলা শেষ না হতেই শুরু হলো পুলিশি তৎপরতা। এবার যুক্ত হলেন এসবির তৎকালীন একজন কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমান। শুরু করলেন নতুন উৎপাত। তিনি বললেন, ভিডিও ফুটেজের মূল কপি তাঁদের দরকার। হম্বিতম্বি করলেন তাঁর বস এসপি রুহুল আমিন। কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছিল সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভিডিও ফুটেজের সব কপি চাইছেন না। তাঁদের টার্গেট আমাদের অফিসে কোনো ভিডিও ফুটেজ থাকতে পারবে না। রুহুল আমিনের নেতৃত্বে এসবি টিম আটক করলেন জজ মিয়া নামে এক সাধারণ হকারকে। গুলিস্তানে জজ মিয়া হকারি করেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা-মোকদ্দমা নেই। পুলিশের এই কর্মকর্তারা এবার বললেন, এই জজ মিয়াই ঘটিয়েছে সবকিছু। ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার জন্য জজ মিয়া দায়ী। বোঝাই যাচ্ছিল নতুন নাটক। উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে চান তাঁরা। চিরতরে আড়াল করতে চান মূল ঘটনা। তাঁদের মূল টার্গেট সফল হয়নি। তাই নতুন কিছু আঁটছেন। সেদিনের আসল ঘটনা কী ছিল জানতে চাইলাম জজ মিয়ার কাছে। তার একটা টিভি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম কয়েক বছর আগে। পুলিশের অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন জজ মিয়া। জানালেন, নোয়াখালীর গ্রামের বাড়ি থেকে ধরে আনেন পুলিশ কর্মকর্তা রুহুল আমিন, আবদুর রশীদ আর মুন্সী আতিক। ২১ আগস্ট জজ মিয়া ছিলেন গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ওপর হামলার খবর তিনি জানতে পারেন চায়ের দোকানে টিভির খবরে। গ্রামের সবাই চায়ের দোকানে ভিড় করেন ঢাকার খবর জানতে। খবর শুনে বাড়ি ফেরেন জজ মিয়া। সেই জজ মিয়াকে এক দিন পর আটক করে ঢাকা নিয়ে আসেন এসবির কর্মকর্তারা। রাতদিন চলত নির্যাতন। কোনো প্রশ্ন না করেই মারধর। জজ মিয়া বলেন, তাকে পুলিশ কর্মকর্তা মুন্সী আতিক, আবদুর রশীদ ও রুহুল আমিন পেটাতে পেটাতে বলতেন, যা শিখিয়ে দিচ্ছি তা-ই বলবি আদালতে। কী বলতে হবে জানতে চান জজ মিয়া। জবাবে তারা বললেন, তাকে গ্রেনেড দিয়েছে দুজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। সেই গ্রেনেড ছুড়েছে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে। পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে আরও বললেন, কথা শুনলে তার মাকে দেখে রাখবেন। না শুনলে ক্রসফায়ার। জজ মিয়া কথা শুনলেন। আদালতে জবানবন্দি দিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হলো। পুরস্কার হিসেবে পুলিশ প্রতি মাসে তার মাকে পাঠাত ৫ হাজার টাকা।
পরিস্থিতি বদল হয় ওয়ান-ইলেভেনের পর। সত্য বেরিয়ে আসতে থাকে বিভিন্ন তদন্তে। আসল রহস্য মানুষ জানতে থাকে। সেদিনের নিষ্ঠুর ঘটনায় জঙ্গি হরকাতুল জিহাদ এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাদের টার্গেট ছিলেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁকে হত্যা করতেই এ হামলা চালানো হয়। বিভিন্ন সংস্থার বরাতে প্রথম আলো, ডেইলি স্টারে জজ মিয়া নাটকের খবর প্রকাশ পায়। এরপর শুরু হয় তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া। এ নিষ্ঠুর ঘটনার দায়ে ১৯ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। এ তালিকায় আছেন ডিজিএফআইর তখনকার পরিচালক, পরে এনএসআইর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআইর তখনকার ডিজি ব্রিগেডিয়ার আবদুর রহিম, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, হরকাতুল জিহাদের মুফতি হান্নান, মাওলানা তাজউদ্দিন, মাওলানা শওকত প্রমুখ। আছেন পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তারাও। আসামিদের নাম দেখেই বোঝা যায় তাঁদের আসল উদ্দেশ্য। নিষ্ঠুরতার একটা সীমা থাকে। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নিয়ে সরাসরি জড়িত ছিল বিরোধী দলের নেতার হত্যাচেষ্টার সঙ্গে। বড় অদ্ভুত এক দেশে বাস করি আমরা। আর এ গ্রেনেড আনা হয় পাকিস্তান থেকে। উঠে আসে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর নামও। সব আলামত ও পারিপাশির্^কতা পর্যালোচনা করে একটা বিষয় পরিষ্কার, ১৫ আগস্ট আর ২১ আগস্ট আলাদা কিছু নয়। একই সূত্রে গাঁথা। ১৫ আগস্টের চক্রান্তকারীরাই ঘটাতে চেয়েছিল ২১ আগস্ট। ১৫ আগস্ট টার্গেট ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর ২১ আগস্টের টার্গেট ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা শেখ হাসিনা। তাঁর একক বিশাল ইমেজই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই বঙ্গবন্ধুর মেয়ের আবার ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা চিরতরে শেষ করতেই ঘটানো হয় ২১ আগস্টের নারকীয়তা।
সেদিন শেখ হাসিনা আল্লাহর রহমতে রক্ষা পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের জন্য আল্লাহ তাঁকে আরও বড় অনেক কাজ করাতে চান বলেই বাঁচিয়ে রেখেছেন। জনসভা হওয়ার কথা মুক্তাঙ্গনে। পুলিশ সেখানে অনুমতি দিল না। সভা পাঠিয়ে দেওয়া হলো ২৩ বঙ্গবন্ধুতে। শেখ হাসিনা সভামঞ্চে বক্তৃতা শেষ করলেন। মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আইভি রহমান ছিলেন ট্রাকের সামনে। তিনি অপেক্ষায় ছিলেন দলীয় সভানেত্রীকে হাত ধরে পরম স্নেহে নিচে নামিয়ে আনবেন। ঘাতকরা সেই সুযোগ দেয়নি। তাদের ছোড়া গ্রেনেডে প্রাণ হারান বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী। এত শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর ব্যবহার করা গ্রেনেড কী করে জঙ্গিদের হাতে গেল? কারা সেই গ্রেনেড তুলে দিলেন? কারা টানা বৈঠক করলেন মাওলানা তাজউদ্দিন আর মুফতি হান্নানের সঙ্গে? ঘটনার আগে-পরে গোয়েন্দা সংস্থা কেন এত বাড়াবাড়ি করেছিল? কেন পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ল আওয়ামী লীগ কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে? অনেক প্রশ্নের জবাব এখনো মেলেনি। ইতিহাসের আড়ালে থাকা অনেক কিছু বের হওয়া প্রয়োজন। সংসদে বিরোধী দলের নেত্রীর ওপর ন্যক্কারজনক জঘন্য ঘটনার আড়ালের খলনায়ক কারা? সে সময়ে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় ছিল। তারা কি দায় এড়াতে পারে? জামায়াতের দুজন মন্ত্রী ক্ষমতায় ছিলেন। ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন, আইএসআই ছিল সক্রিয়। সেসব ইতিহাস ভুলে গেলে হবে না। ইতিহাসের পাতায় শুধু খুনের প্রকাশ্য চেষ্টাকারীদের চিহ্নিত করলে হবে না; বের করতে হবে আড়ালের মানুষকেও। চিরতরে বন্ধ করতে হবে এ ধরনের অপতৎপরতায় রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা। দেশের বিরোধী দলের নেত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব যাদের ওপর অর্পিত তারা কার নির্দেশে নিকৃষ্ট ঘটনায় জড়াল? ২১ আগস্ট আমাদের রাজনীতির সহনশীলতা চিরতরে শেষ করে দিয়েছে। কলুষিত করেছে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি। সৃষ্টি করেছে হিংসা, প্রতিহিংসার এক অধ্যায়। ধ্বংস করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সামাজিকতা। তৈরি করেছে বৈরী পরিবেশ। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশে এ রাজনীতি আমরা চাইনি।
রাজনীতির একটা স্বাভাবিক গতি থাকে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ইতিবাচক রাজনীতির জন্যই লড়াই করেছেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর একটা বিশাল ভূমিকা ছিল। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে শুরু করেন হত্যা, ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই। তারপর শুরু হয় তাঁর কণ্ঠরোধ করার প্রক্রিয়া। তাঁকে হত্যার চেষ্টায় ১৮ বার হামলা চালানো হয়। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে পুলিশ বৃষ্টির মতো গুলি চালিয়েছিল তাঁর জনসভায়। বারবার ফ্রীডম পার্টি হামলা করেছিল তাঁর ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ভোটের দিন ঢাকার গ্রিন রোডে তাঁর ওপর হামলার সময় সংবাদ সংগ্রহে ছিলাম। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফ্রীডম পার্টির আক্রমণ দেখেছি। সাতক্ষীরা, পটুয়াখালীসহ ঢাকার বাইরে বিরোধীদলীয় নেতার গাড়িবহরে আক্রমণ হয়। হামলা চালানো হয়। সব সময় টার্গেট ছিলেন একজনই। তিনি শেখ হাসিনা। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা বুঝি না, জানি না অনেক কিছু। কিন্তু খুনিরা জানে-বোঝে শেখ হাসিনাকে শেষ করতে পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চিরতরে শেষ হয়ে যাবে। বাকি কাউকে আর হিসাব করতে হবে না। আর সে কারণেই বারবার হামলা ও আক্রমণ। আর কিছু না।
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন